তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর সদরের পল্লীতে হামলায় ২ নারীসহ ৬ জন গুরুতর আহত

 

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর সদরের পল্লীতে হামলা চালিয়ে ২ নারীসহ ৬ জনকে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে ১৩ এপ্রিল দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন সদরের ঝানজিরা এলাকার লক্ষ্মীদহ (গুচ্ছগ্রাম) এর বাসিন্দা রমানাথ রায়। এ ঘটনায় সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ ও মারপিটের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচার নিশ্চিতে দাবি জানানো হয়েছে দাখিলকৃত এজাহারে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় দিনাজপুর সদর উপজেলার ঝানজিরা এলাকার লক্ষ্মীদহ (গুচ্ছগ্রাম) এ হামলা চালায় এক দল সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী দল বাঁশের লাঠি, সাবল, হাসুয়া, পশু কুড়াল, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই এলাকার প্রসেনজিতের বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসী দল প্রসেনজিৎকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে বাড়িতে থাকা নারী সদস্য স্বপ্না রানী, মুক্তা রানী ও কল্পনা রানীকে এলোপাথারী মারপিট করে। প্রসেনজিৎ ও তার বাবা রমানাথ রায়, তার ভাই চয়ন, বিক্রমসহ অন্যান্যরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তাদের উপরও আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের উপর্যুপুরি আঘাতে গুরুতর আহত হয় স্বপ্না রানী, কল্পনা রানী, বিক্রম, ষষ্ঠিচরণ, বাবুরাম, চয়ন। এলাকাবাসী তাদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে দ্রুত এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসীরা এ সময় সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ করে। যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে। এমতাবস্থায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আশু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সন্ত্রাসীরা ইতিপূর্বে পার্শ্ববর্তী আত্রাই নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার নামে বিষাক্ত ট্যাবলেট ও রাসায়নিক দ্রব্য নদীতে ছিটায়। যা খেয়ে মারা যাচ্ছে নদীর মাছসহ এলাকার হাঁস-মুরগী। মূলত এই হাঁস মারা যাওয়াকে কেন্দ্র এই হামলার ঘটনা। সন্ত্রাসীরা তাদের হাঁস মারা যাওয়ায় উল্টো রমানাথ রায় ও প্রসেনজিৎ রায়ের পরিবারকে দায়ি করে এ হামলা চালায়। রমানাথ রায় তার এজাহারে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।